৩৪৩ বছরের এই দুর্গার সিংহ আছে, কিন্তু লক্ষ্মী সরস্বতীর বাহন নেই
বসিরহাটজুড়ে রয়েছে একাধিক বারোয়ারি ও বনেদি পুজো। সেগুলির অন্যতম হাড়োয়ার গোপালপুরের হড়চৌধুরীদের পুজো। ১৬৮০ সালে এ পরিবারের রত্নেশ্বর হড়চৌধুরী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে কাজ করতেন। তাঁর কাজে মুগ্ধ হয়ে কৃষ্ণচন্দ্র কিছু জমি দান করেন। জমি পাওয়ার পর পুজো শুরু করেন রত্নেশ্বর। সেই থেকে আজও একইভাবে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।এবার ৩৪৩ বছরে পড়ল হাড়োয়ার গোপালপুরের হড়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো।এই পুজো ঘিরে একাধিক গ্রামের মানুষ পঞ্চমী থেকে উৎসব শুরু করেন। উল্টোরথে কাঠামো পুজো হয়।
বংশপরম্পরায় মালি পরিবার প্রতিমা তৈরি করে। এখানে একচালার দেবীমূর্তি। লক্ষ্মী ও সরস্বতীর কোনও বাহন নেই। মৃৎশিল্পী, পুরোহিত বা ঢাকি বংশপরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন। দশমীতে বিসর্জনের আগে মন্দিরের সামনে তিন ফুট গর্ত করা হয়। তাতে জল ঢেলে বাড়ির কোনও প্রবীণ পুরুষ সদস্য বসেন। বয়সে ছোটরা তাতে নেমে ওঁকে প্রণাম করে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান। তারপর কোলাকুলি। মহিলারা বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলায় মাতেন।