দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে মা দুর্গাকে বরণ করা হয় রানাঘাটের ঘোষবাড়িতে

৫০৪ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। এ বছর পড়ল ৫০৫ তম বছরে।রানাঘাট শুধু নয়, নদিয়ার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো। ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে চৈতন্যচরণ ঘোষ হুগলি জেলার আকনা থেকে আসেন ব্রহ্মডাঙ্গায়, যা পরে রানাঘাট নামে পরিচিত হয়। এখানে তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। এই বংশের ২৯ তম পুরুষ রণজিৎ ঘোষ বলেন,

নবমীর রাতে আগমনী শুনিয়ে দেবী দুর্গাকে জাগিয়ে রাখতে হয়

নবমীতে দেবী দুর্গাকে আগমনী গান শোনানো হয় বরাকরের মুখোপাধ্যায় পরিবারে। নবমীর সারারাত মা’কে জাগিয়ে রাখা হয় গান শুনিয়ে। অন্যথা হলেই ঘটেছে বিপদ। 329 বছর ধরে বরাকরের মুখোপাধ্যায় পরিবারে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে বলে জানালেন পরিবারের সপ্তম পুরুষ কানাইলাল মুখোপাধ্যায়। এক সময় কাশেম বাজার রাজার এস্টেটের নায়েবিয়ানা করতে বরাকরে এসেছিল এই মুখোপাধ্যায় পরিবার। উদ্দেশ্য ছিল রাজার দেবতাদের

ধেনুয়া গ্রামে এক দিনেই শেষ দুর্গাপুজো! বোধনের দিনেই বিসর্জন

দুর্গাপুজো ৪ দিনের উৎসব হলেও পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর থানার অন্তর্গত ধেনুয়া গ্রামের ঠাকুর পরিবারে গত ৫০ বছর ধরে যে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে তা মাত্র একদিনের। সেই ১৯৭৩ সালে পুজোর প্রচলন হয়েছিল, তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিবছর মহালয়ার দিনেই দেবীকে নানা উপাচারে তুষ্ট করে তারপর বিদায় দেওয়া হয়। কালীকৃষ্ণ সরস্বতী ঠাকুরের হাত ধরে প্রথম সূচনা হয়েছিল

 নবমীর মহাভোজে বাড়িতেই বানান ঠাকুরবাড়ির কায়দায় মাটনের অভিনব পদ

পাঁঠার মাংস ছাড়া নবমীর দুপুর ভাবা মুশকিল। আর বাঙালি সবসময়ই এক্সপেরিমেন্টাল কিছু করতে চায়। ঠাকুরবাড়ির প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবীর স্পেশাল রেসিপি মাংসের কালিয়া জগুরথ পুজোর সময় আপনার হেঁশেলে ট্রাই করতেই পারেন। মাংস ১ কিলো ঘি ২০০ গ্রাম দই ৩০০ গ্রাম দুধ ২৫০ গ্রাম বাদাম- খোসা ছাড়ানো ১২৫ গ্রাম (আধ কাপ মতন) বড় পেঁয়াজ চার পাঁচটা আদা আর

রানাঘাটের এই পুজোতে নবমীতে হয় কাদা খেলা

বিশেষ রীতির জন্যই রানাঘাটের পালবাড়ির এই পুজো থাকে সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রে। প্রতিবছর ভিড় জমান বহু মানুষ।নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটের পালবাড়ি। ২৬৬ বছর আগে পাল বাড়িতে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলেছে শুধুমাত্র বদল হয়নি পুজোর নিয়মে। পরিবারের এক সদস্যা জানিয়েছেন, ২৬৬ বছর আগে সাগরেশ্বর পালের হাতে শুরু হয়েছিল এই পুজো। এখন এই পুজোর

নবমীতে অসুরদের উদ্দেশে ‘মাসভক্তবলি’ পুজো অর্পণ করা হয় সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের পুজোয়

সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন লক্ষ্মীকান্ত রায়চৌধুরী। ১৬০০ সালে সাবর্ণরা দুর্গাপুজো শুরু করেন হালিশহরে। এরপর ১৬১০ সালে ওই পুজো বড়িশায় স্থানান্তরিত হয়। এখনও সাবর্ণদের আটটি বাড়িতে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়ির পুজোর বয়স ৩০৭ বছর। কৃষ্ণদেব রায়চৌধুরীর হাত ধরে ১৭১৭ সালে এই পুজো শুরু হয়। এখানে পুজো হয় বিদ্যাপতি রচিত দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী

নবমীতে কোন কোন পুজো দেখবেন?

শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। মহালয়া থেকেই কলকাতার একাধিক মণ্ডপে ভিড় শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। শুধু কলকাতা কেন, জেলায় জেলায়ও এবার মহালয়ার পর থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু হয়েছে।জেনে নিন কলকাতার সেরা কিছু পুজোর সম্পর্কে ১.হাতিবাগান নবীনপল্লি (উত্তর কলকাতা): বাঙালির পেশাদারী থিয়েটারের দীর্ঘ ঐতিহ্যই এবার পুজোর বিষয়ভাবনা হয়ে উঠে আসছে নবীন পল্লীতে।হাতিবাগান অঞ্চলের আত্মপরিচয় এই পেশাদার থিয়েটার।

ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরে অষ্টমীর ভোগ নিজেই রাঁধেন দুর্গা!

সাজো সাজো রব ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড় কনক দূর্গা মন্দিরেও। এবারও প্রথা মেনেই পুজো হবে এই ঐতিহ্যবাহী দুর্গা মন্দিরে। তবে জানেন কি, এই মন্দিরের মা দুর্গা কিন্তু দশভূজা নন। দেবী এখানে অশ্বারোহিণী চতুর্ভূজা। চারশো বছরেরও বেশি সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে এখানে।ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে জঙ্গল। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ডুলুং নদী। সেখানেই রয়েছে মায়ের

ভাঙড়ে মজুমদার বাড়ির পুজোয় অষ্টমীতে পঙ্‌ক্তিভোজনে বসেন হিন্দু ও মুসলমান

বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মেতে ওঠে সকল বাঙালি। তারই এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ ভাঙড়ের মজুমদার বাড়ির দুর্গোৎসব। ভাঙড়ের ওই গ্রামটির নাম স্বস্ত্যয়নগাছি। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো শতাব্দীপ্রাচীন মজুমদার বাড়ির পুজোয় আগের মতো আড়ম্বর-জাঁকজমক আর দেখা না গেলেও। উৎসবের দিন গুলিতে এখানে হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের যে মেলবন্ধন ঘটে। পুজোতে যা অন্য

আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৫৮ দিনের মাথায় সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিট

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, কে প্রকৃত দোষী? একাধিক জল্পনা বিগত ৫৮ দিন ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজ্যজুড়ে। দেবীপক্ষের সূচনায় চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ধৃত সঞ্জয় রায়ই মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন তরুণী চিকিৎসককে।সোমবার দুপুরে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তদন্তকারী অফিসারেরা চার্জশিট পেশ করেন। তদন্তভার