খাদ্যসাথী কুপনে বারকোড
খাদ্যসাথী কুপনে এ বার বারকোড
ফুড কুপন বিলিতে অনিয়ম রুখতে চালু হচ্ছে বারকোড। কুপনের উপর বারকোড না থাকলে কেউ আর রেশন তুলতে পারবেন না।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, এমন নাগরিকদের জন্য ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ফুড কুপন চালু রাখার সিদ্ধান্তও হয়েছে বাংলায়। যতদিন না পর্যন্ত সব গ্রাহক ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পাচ্ছেন, ততদিন কুপন চালু থাকবে।
এতদিন কুপনে ক্রমিক নম্বর দেওয়া থাকত। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ফুড কুপনে বারকোড থাকতেই হবে। এতে গ্রাহকদের রেশন দিতে সুবিধা হবে।
রেশন দোকানে বসানো এফপিএস মেশিনে বারকোড ঠেকানো মাত্র সেই গ্রাহক ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তথ্য দেখতে পারবেন রেশন ডিলার।
কুপনে পদাধিকার উল্লেখে সরকারি অফিসারের ছাপানো সইও থাকবে ফলে বার বার সইয়ের দরকারও পড়বে না। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে খাদ্য দপ্তরের ইনস্পেক্টররা নিজেরা লগ-ইন করে ফুড কুপন ছাপিয়ে নিতে পারবেন।
কুপন ছাপানো হয়ে গেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফোনে একটা এসএমএস আসবে। সেই মতো তিনি ফুড ইনস্পেক্টর, বিডিও, এসসিএফএস কিংবা আরও অফিস থেকে কুপন সংগ্রহ করতে পারবেন। করোনা অতিমারি এবং লকডাউনের জেরে কাজ চলে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
লকডাউনের সময় রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করলেও ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকায় শুরুতে অনেকেই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁদের জন্য খাদ্যসাথী ফুড কুপন চালু করে রাজ্য সরকার।
অতিমারির পরিস্থিতিতে ছাপানো ডিজিটাল রেশন কার্ড বাড়িতে পৌঁছে দিতে সমস্যায় পড়ছে পোস্ট অফিস। তাই ওইসব কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যসাথী ফুড কুপনের ব্যবস্থা করেছে খাদ্য দফতর।
কোনও ক্ষেত্রে খাদ্যসাথী স্পেশ্যাল কুপনের ব্যবস্থা হয়েছিল। এ বার থেকে ওইসব কুপনেও বারকোড থাকবে বলে জানা গিয়েছে।