৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা
ফের সম্পূর্ণ কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেল থেকে ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। সেখানে রাজ্য সরকার কী নথি পেশ করে সেটাও দেখতে চান চিকিৎসকরা। মূলত সেদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার কী নথি পেশ করে সেটা দেখবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর থেকেই কর্মবিরতি।
ঘটনার সূত্রপাত, শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে রোগীর পরিজনদের হাতে প্রহৃত হন জুনিয়র চিকিৎসক-সহ কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী। অভিযোগ, শুধু মারধর করা নয়, ‘আরজি কর করে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কর্তব্যরত এক জুনিয়র মহিলা ডাক্তারকে। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকেই সাগর দত্তে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন সেখানকার জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ দফতরের পদস্থ কর্তারা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। পরে বাইরে এসে নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রশাসনকে চূড়ান্ত ডেডলাইন বেঁধে দেন তাঁরা।
প্রশাসনিক বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন, সোমবার বিকেলের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রশাসন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করতে পারলে ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে নামবেন তাঁরা।জুনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, নিরাপত্তা তো দূরে থাক এখনও শাসকদলের বিধায়করা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন। এদিকে হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো নেই, বহু জায়গায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নেই। এদিকে পান থেকে চুন খসলেই মারধর করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের কথায়, সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যকে বলেছিল, নিরাপত্তার প্রশ্নে কনফিডেন্স তৈরি করতে, কিন্তু তার এক কণাও হয়নি। ফলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফেরার প্রশ্নই ওঠে না।