উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়,বিজেপি,বাম ও কংগ্রেস ‘সাফ’!
নভেম্বর 23, 2024 < 1 min read
উপনির্বাচনে সাধারণত শাসক-বিরোধী সমীকরণে তেমন রদবদল ঘটে না যদিও। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের জেরে উত্তাল পরিস্থিতির জেরে এবারের ফলাফলে প্রভাব পড়বে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার ফল প্রকাশিত হতে দেখা গেল, ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের সবক’টিতেই জয়ী হল তৃণমূল। এমনকি যে মাদারিহাট এতদিন বিজেপি-র দখলে ছিল, তা-ও ছিনিয়ে নিল জোড়াফুল শিবির। দলের নেতা-কর্মীরা এই জয়ের কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিয়েছেন। যদিও বিজেপি এই ফলাফলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
বরং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরাই জিতবেন বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।শনিবার নৈহাটি, সিতাই, হাড়োয়া, মাদারিহাট, মেদিনীপুর এবং তালডাংরা, এই ছয় আসনে উপনির্বাচনের ফলঘোষণা হয়। আর সেই ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায়, উপনির্বাচনের ফলাফল ৬-০ হয়েছে। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে জোড়াফুল শিবির। বেশ কিছু জায়গায় ফলাফল ২০২১-এর তুলনায়ও ভাল। কোথাও দাঁত ফোটাতে পারেনি বিরোধী দলগুলি। একদিকে মাদারিহাট যেমন হাতছাড়া হয়েছি বিজেপি-র, তেমনই আলাদা আলাদা লড়াই করেও ভোটবাক্সে সুফল তুলতে পারেনি সিপিএম এবং কংগ্রেস। আর এই ফলাফল সামনে আসার পরই ফের রাজ্যে বিরোধীদের রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা ছক্কা হাঁকাতেই এই বিপুল জয় নিয়ে মুখ খুললেন দলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশাল মিডিয়ায় দল তথা দলীয় প্রার্থীদের এই সাফল্যের জন্য তৃণমূলের সকলস্তরের নেতা ও কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ‘অপপ্রচার’-এর বিরুদ্ধে গিয়ে জনমত প্রকাশ করার জন্য।