দেশ বিভাগে ফিরে যান

জাতিগত জনগণনা নিয়ে চাপ বাড়ছে বিজেপির

সেপ্টেম্বর 17, 2024 | 2 min read

ভারতে প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনার রীতি চলে আসছে ১৮৮১ সাল থেকে। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণে তা ভেস্তে যায়। খুব তাড়াতাড়ি জনগণনা শুরু হতে চলেছে বলে, জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে এক সরকারি সূত্র। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই মোদি সরকার জনগণনার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে জনগণনার সঙ্গেই দেশব্যাপী জাতগণনা হবে কী না তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্র। সুতরাং জনগণনার ফর্মে জাতির কলাম অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলেই রয়েছে। দীর্ঘিন ধরেই ২০২১-এর জনগণনার তথ্যের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে দেশের মানুষ। গত বছরই মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর করা হয়েছে।

তার শতাংশের হিসেবের জন্য জনগণনা প্রয়োজন। এছাড়া, সর্বশেষ জনসংখ্যার পরিসংখ্যান নেই বলে আপাতত, মোদী সরকার বিভিন্ন নীতিই প্রণয়ন হচ্ছে ২০১১ সালের জনগণনার তথ্যের ভিত্তিতে। ভর্তুকিও বরাদ্দ করা হচ্ছে ওই পুরোনো তথ্য অনুযায়ী।জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ জনগণনা এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন বা এনপিআর আপডেট করার জন্য আনুমানিক ১২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এইবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনা করা হবে। এর ফলে নাগরিকরা নিজেরাই নিজেদের তথ্য দিতে পারবেন। সরকারী গণনাকারীদের মাধ্যমে তথ্য না দিয়ে, যারা নিজেরাই জনগণনার ফর্ম পূরণ করতে চান, তাদের জন্য এনপিআর বাধ্যতামূলক হবে। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে দলগুলি জাতিগত গণনার দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

শুধু বিরোধীরা নয়, বিজেপির কিছু জোট সঙ্গী, যেমন চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি এবং বিহারে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) দেশব্যাপী জাতিগত গণনার পক্ষে কথা বলেছে।পাশাপাশি, আরএসএসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, জাতিগত জনগণনা করা হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। যদি না সেই তথ্য নিয়ে রাজনীতি করা হয়। মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে যদি এই গণনা করা হয়, তাতে তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্ব।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
FacebookWhatsAppEmailShare
আধার কার্ড,প্যান কার্ডের তথ্য ফাঁস রুখতে ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় সরকার
FacebookWhatsAppEmailShare
বোকারোর কাছে ফের লাইনচ্যুত মালগাড়ি
FacebookWhatsAppEmailShare