বাংলা বিভাগে ফিরে যান

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানো যাবে না, নির্দেশ মমতার

সেপ্টেম্বর 12, 2024 | < 1 min read

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তা নিয়ে এই বাংলা উত্তাল হয়েছে। রাজপথে নেমেছে মানুষ। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন। ইতিমধ্যেই তার জেরে ২৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায় বলে অভিযোগ। এই আবহে বুধবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে, কোনও রোগীকে ফেরাতে পারবে না তারা।

এমনকী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও ফিরিয়ে কোনও মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। নবান্ন সূত্রের খবর, শিগগির বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের নবান্নে বৈঠকে ডাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকের পর মুখ্য সচিব ও রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে আলাদা করে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর বেসরকারি হাসপাতালের বিষয়ে কী কী নির্দেশ দিতে হবে তা পরিষ্কার জানিয়ে দেন।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষই হবে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তার সঙ্গে থাকবেন নার্স, জুনিয়র ডাক্তার এবং স্থানীয় থানার পুলিশ। রাজনীতি বাদ রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, গত জুলাই মাসে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যে খরচ হয়েছিল রাজ্য সরকারের, তা অগস্ট মাসে এসে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ।

গত কয়েকদিনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে জানা গিয়েছে যে ১০ অগস্টের পর থেকে প্রত্যেকদিনই নিয়ম করে রাজ্য সরকারকে এই প্রকল্পে ৬ কোটি টাকা করে খরচ করতে হচ্ছে ।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

নেপথ্যে অভিষেক, মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার সন্তানের দায়িত্বে বৃহন্নলা
FacebookWhatsAppEmailShare
৫০ লক্ষ টাকা উড়েছে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনে!
FacebookWhatsAppEmailShare
মহালয়া থেকে দশমী, বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা
FacebookWhatsAppEmailShare